Tuesday, October 25, 2022

আভাঁগার্দ কবিতা : চার

 

নিবেদিত: খানজাদা বেগম তিমুরিড রাজকন্যা এবং দ্বিতীয় উমর শায়খ মির্জার বড় মেয়ে

এই মেয়েমানুষ দশপাতার চিঠিতে কান্নাকাটি না করে এক লাইনে বলতে পারতিস তোশোক নিয়ে ঘাসের আড়ালে চলো আমার অতীত পচা মড়ায় ঠাশা আজকাল তাদের মাংসে পোকা ধরেছে এই যে দেখছেন নখের কোনায় পিত্ত ফাটিয়ে ফাঁক করা ছাড়া কীই বা আছে কাঁদো কাঁদো আদুরে গলায় নৈরাত্ম-ভাবনাই ঝ্যাম কিলবিলে পোকা কী দুর্গন্ধ বহুত লম্বা হাত থাকলেই হলো আমি কি খার খেয়ে বসে আছি মায়ের হাতের ডিম ঝুরি আবার বাজুবন্ধ অকৃত্রিম লটকালাম ! ছায়া ব্যস্ত হয়ে গেলে যে কায়া দৃশ্যমান হয় তা আদতে মৃতদেহে করা-ই যায় ভালোবাসার ও থাকে জুরাসিক যুগের শেষ দিকে এক শ্বাসরুদ্ধকর এক্সপায়ারি ডেট বানচোদ সংখ্যাগরিষ্ঠরাই নির্ণয় নেয় কী ভালো আর কী খারাপ ধর্ম হোক জাত হোক গায়ের চামড়া হোক দল হোক যতটা অবিশ্রান্ত হ্যাংলামি আদুরে প্রথমোক্ত ঘরাণার ঘরের বউরা দুপুরে আমার ভেতর, যেন চিরবিরহী ম্যাড়ম্যাড়ে ওই তেলে দ্রবীভূত সোনা দিয়া বান্ধানো পদযুগলে বাঃ ,খুউউব ইচ্ছা হইতেসে, খুব খুউউউউউব! কিন্তু দেখার সাহস হইতেসে না পুরুষ চোখ আগে মুখে, বুকে, নিতম্বে….অনবদ্য ইত্যাদি ইত্যাদি রাজনৈতিক পতাকার মতন ক্ষত আর নেই এতটাই বেপরোয়া পুদুচেরির খুদে মুরগি হুহুহু হিহিহি হাহাহা হোহোহো, তিনটি মাত্রাই রুদ্ধ র‍্যাম্পাট কেলিয়েছে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পিরথিবি ছাইড়া চইলা যামু উউউউম্মাহহহ


 

No comments:

Post a Comment

একশো পাঁচটি আভাঁগার্দ কবিতা

  এক    দেখেছি ডুমুর ভেঙে কচি ফুল প্রেম ভেঙে যোনি ছিঁড়ে যাচ্ছে প্রত্যবর্তনহীন গোলকধাঁধায় ফুটকড়াই পূজনীয় ব্যথাগুলো দিলুম গো অশরীরী বীক্ষণ বাড়...