Friday, October 21, 2022

আভাগার্দ কবিতা : এক

  

আভাঁ গার্দ ( Avant Garde ) কবিতা : এক

নিবেদিত : সালিমা সুলতান বেগম , মোগল সম্রাট আকবরের চতুর্থ স্ত্রী এবং বাবরের নাতনি

তুই বেডি ইশ! খালি গালি ছাইড়া দিছি দেইখা এক নোয়াখাইল্যা উক্তি দিসলাম। আমার জ্বর বাড়লে পুরো শহর ছারখার হয় বলে মেয়েটার লহুলিহান লাশ খাটের তলায় গুঁজড়ে দিই চোখের মণিতে সেই মেয়েমানুষ বলেছিলি কেন চলুন পালাই বলতে তো পারতিস ভালোবাসি চল্লো ভাগমভাগ কেটে পড়ি তুই তো সারা গায়ে শুক্ররস মেখে কোটি সন্তানদের হাওয়ায় উড়িয়েছিলিস তাই বলে শ্রেষ্ঠত্বের প্রত্যয়ই  পশ্বাচার, বীরাচার পেরিয়ে ক্ষমতা থাকলে শুধু নিজের কাজে লাগাও ফড়িং সেজে মানুষ কাঁদে না সর্বনাশ হয়ে গেছে ওগুলো কুমীরমুখো স্তাবক আমার মাকে সারা জীবন কুড়িজনের সংসারে চাকরানির খাটুনি খাটতে হয়েছিল তবু বাড়ির বাইরে ল্যাংটো রক্তমাখা এই ছুরি কেন  রাগ পুষে রাখতে হয় নয়তো কীসের মানুষ ক্রোধ ফাটা মাথা নিয়ে ধ্বংসের স্তূপে বসে গলা টিপে ক্যাওড়া দলে সপাটে কেলেঙ্কারি লাগাটা বেড়ে যায় বাহ ! বাহ ! বৈধ না অবৈধ কোন বেবাক মরদানগির আওতায় লুচ্চাদের লজ্জা দুরকম মনের আর দেহের  মোক্ষম অস্ত্র মাননীয় প্রেমের ভাটিখানা থেকে বুকে ভুঁকে দাও  তারুণ্যমেলায় বমচিকাবম দে রদ্দা কানের পাশে খিঁচকে রঙ্গভরা বঙ্গলোকের সরল মিষ্টি হাসির পাকাপাকি শক থেরাপি কোলে বসতে চায় সবুজ মরীচিকা হতবাক খিল্লির গুঞ্জরণ ছিল গাড়িত্থে নাইমা গেছি আর জ্যাম ছাইড়া চুল ছিঁড়তে মুঞ্চায় উদ্বেগাকুল সারাজীবন একই বাড়িতে থাকলে  পড়শিরা মাথায় হাগবে কেননা গোরুদের  একবার সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয় যে ষাঁড় শ্রেণীর কোন বিশেষ প্রতিনিধি তাদের প্রতিনিধিত্ব করবে আর যৌবনের বন্ধুদের মতন বাঁশ করবে দাও হুড়কো হুমহুনা   



No comments:

Post a Comment

একশো পাঁচটি আভাঁগার্দ কবিতা

  এক    দেখেছি ডুমুর ভেঙে কচি ফুল প্রেম ভেঙে যোনি ছিঁড়ে যাচ্ছে প্রত্যবর্তনহীন গোলকধাঁধায় ফুটকড়াই পূজনীয় ব্যথাগুলো দিলুম গো অশরীরী বীক্ষণ বাড়...